কক্সবাজারের রামুতে গৃহবধূকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। নিহত গৃহবধূ বুলবুল আকতার (২০) রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের রাশেদুল হকের স্ত্রী। পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী ও শ্বাশুড় বাড়ির সদস্য তাকে মারধরের পর জবাই করে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন নিহত বুলবুল আকতারের স্বজনরা। এ ঘটনায় পুলিশ ২জনকে আটক করেছে।
জানা গেছে, প্রায় দুই বছর পূর্বে রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের পূর্ব কাউয়ারখোপ ভিলেজারপাড়ার আবুল খায়েরের মেয়ে বুলবুল আকতারের সাথে রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের উমখালী এলাকার নুর আহমদের ছেলে রাশেদুল হকের বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের সংসারে ৮ বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
নিহত বুলবুল আকতারের বাবা আবুল খায়ের জানিয়েছেন, বুধবার (২৭ জুলাই) রাত আটটায় স্বামী রাশেদুল হক কথা কাটাকাটির জের ধরে বুলবুল আকতারকে মারধর করে। বুলবুল আকতার এর প্রতিবাদ জানালে একপর্যায়ে রাশেদুল হক তাকে দা দিয়ে জবাই করে দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় বুলবুল আকতারকে বুধবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় আজ বৃহষ্পতিবার সকালে প্রাণ হারান বুলবুল আকতার।
এ ঘটনার পর থেকে স্বামী রাশেদুল হক পলাতক রয়েছেন। তবে পুলিশ রাশেদুল হকের মা মরিয়ম খাতুন (৫৮) ও বড় বোন আকতার (২৬) কে আটক করেছে।
দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ওসমান গণি জানিয়েছেন, বুলবুল আকতার সম্প্রতি বাচ্চা প্রসবজনিত ভাতা পান। সেই অর্থ দাবি করেন স্বামী রাশেদুল হক। এনিয়ে বাকবিতন্ডার জের ধরে বুলবুল আকতারকে জবাই করে হত্যা করে রাশেদুল হক।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর গৃহবধূ বুলবুল আকতারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এবং লিখিত অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে নিহত বুলবুল আকতারের মৃতদেহ চমেক হাসাপাতালে ময়না তদন্ত শেষে গতকাল বৃহষ্পতিবার রামুর কাউয়ারখোপ ইউনিয়নে পৈত্রিক বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। বাদে মাগরিব নামাজে জানাযা শেষে তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়ছেন নিহত বুলবুল আকতারের পরিবারের সদস্যরা।
পাঠকের মতামত: